বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, শুধু জাতীয় পার্টিকে নয়, আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার ইন্ধন ও শক্তি ছিল ১৪ দলীয় জোট। এই ১৪ দলীয় জোটের সরাসরি সমর্থন ও সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের অপশাসনের ১৫ বছরের প্রতিটি অপরাধের সমান অপরাধী ১৪ দলীয় জোট। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর খুনি হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে বসে বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের দিয়ে। তারা টার্গেট করে-করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির নেতাদের আক্রমণ করছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের ভেতরে থাকা আওয়ামী দোসররাও। তাই অনতিবিলম্বে সরকারের ভেতরে বাহিরে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জুলাই বিপ্লব বিশ্বাস করে, জুলাই বিপ্লব লালন ও ধারণ করে এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়; তবে অবশ্যই গণতন্ত্রের শত্রু আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ করবে। শনিবার ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. এমজি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ মারুফ শাহরিয়ার’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করে ১/১১ সৃষ্টি করতে পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। যার কারণে তারা বিভিন্ন মব সৃষ্টি করছে। জুলাই যোদ্ধাদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং জুলাই চেতনা বিনষ্ট করতে তারা নানামুখী চক্রান্তে লিপ্ত। জুলাইয়ের স্টেকহোল্ডারদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারলে পরাজিত শক্তি সফল হয়ে যাবে। কোনভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। এজন্য জুলাইয়ের স্টেকহোল্ডারদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধ জাতিকে কোন শক্তিই পরাজিত করতে পারে না। তিনি, দল ও মতের ভিন্নতা থাকলেও জাতীয় স্বার্থে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই উল্লেখ করে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সংসদ ও সরকার গঠিত হয়। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে সবদলের প্রতিনিধিত্ব থাকার ফলে কোনো সরকারই একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে পারে না, পারবে না। কোনো সরকার ফ্যাসিবাদ হয়ে উঠতে পারবে না। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে প্রতিযোগিতার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি হবে। জাতি একটি শান্তিপূর্ন সমাজ দেখবে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।