ফটিকছড়ি সংবাদদাতা : চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছে ছাত্র-জনতা। গত ১৮ আগস্ট অবরোধ চলার ফলে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়িতে থাকা যাত্রীদের ভোগান্তি হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দূরবর্তী স্থানে চিকিৎসা নিতে হয়। এছাড়া ওষুধের অভাব, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি এবং জরুরি সেবার সীমিততা এলাকার মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।

তারা স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চিকিৎসক নিয়োগ বৃদ্ধি, সার্বক্ষণিক জরুরি বিভাগ চালু, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ, ল্যাব সুবিধা উন্নয়ন এবং নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন। আন্দোলনকারী আকিব হাসান মাহি বলেন, “স্বাস্থ্য বিভাগ কোনো সাড়া না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে অবরোধ করতে হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অগ্রগতি না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।”

অবরোধের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও ফটিকছড়ি থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আলোচনার পর আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “তাদের দাবী যৌক্তিক, তবে জনসাধারণের ভোগান্তি এড়িয়ে আন্দোলন করা উচিত।”