মাগুরা সংবাদদাতা : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে সোমবার বিকেলে উপজেল ৪ হাজার ৫’শ ২০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, উপজেলা প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। উপজেলা কৃষি সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে, ১ হাজার ৬’শ জন কৃষককে গম, ১ হাজার ৮’শ জনকে সরিষা, ৩’শ ৫০ জনকে শীতকালীন পেঁয়াজ, ৬’শ ৫০ জনকে মসুর, ১’শ ২০ জনকে খেসারীর বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।

সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার ও মাতৃদুগ্ধ কর্নার স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

ঝালকাঠি সংবাদদাতা : সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার এবং মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপনের দাবীতে মাল্টিপার্টি পার্টি এ্যাডভোকেসী ফোরাম ঝালকাঠি জেলা শাখার আয়োজনে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মাল্টিপার্টি এ্যাডভোকেসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সাকিনা আলম লিজা’র সভাপতিত্বে এবং কর্মসূচি সমন্বয় ক এ্যাড. মিজানুর রহমান মুবিন এর সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস হরি, ঝালকাঠি জেলা বাসদের সংগঠক মোঃ রমজান আকন হৃদয়, এনসিপি’র যুগ্ম সমন্বয়কারী মুয়াবিয়া মাকনুন, ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারজানা মুক্তা, জেলা তাতী দলের সভাপতি মোঃ বাচ্চু হাসান খান, মাল্টিপার্টি এ্যাডভোকেসী ফোরামের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আলী হাসান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী হাসান, জুলাই বিপ্লবের সংগঠক আবির লস্কর প্রমুখ।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় নারীর অবদান অনস্বীকার্য। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক নারী সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন কিন্তু কর্মক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সহায়ক পরিবেশের অভাব কর্মজীবী নারীদের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধীগত হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত কর্মরত মায়েদের জন্য শিশু সন্তানদের যতœ নেওয়া ও স্তন্যদান করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকা নারী কর্মীদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি করছে এবং কর্মক্ষাকে প্রভাবিত করছে। অনেক নারী বাধ্য হচ্ছেন পেশা ও মাতৃত্তের মধ্যে অন্যায় করতে। তাই মাতৃত্বকালীন দায়িত্ব ও পেশাগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার্থে সকল সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত কার্যালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শিশুদের জন্য কেকেআর সেন্টার স্থাপন। প্রত্যেক কর্মস্থলে কর্মরত মেয়েদের জন্য বেস্ট ফিডিং কর্নার চালু করা। এসব কেন্দ্রের মান ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে জেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন এবং উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ অনিয়া নীতিগত সহায়তা প্রদানের দাবী জানানো হয়। এ সকল দাবির সমর্থনে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের নিকট মানববন্ধন শেষে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।