নাটোরে মহাসড়ক ও পৌরসভার প্রধান সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে নাটোর সড়ক বিভাগ। রোববার সকাল থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপসচিব পদমর্যাদা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফাকুল হক চৌধুরী। তবে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও।
নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার বলেন, সড়কের নিরাপদ করতে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। এর আগেও কয়েকবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এবার উচ্ছেদ করার পরে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হবে। যেন কোন অবৈধ স্থাপনা ব্যাংক, সরকারী অফিস ও কোন প্রতিষ্ঠানের সামনে এস্থাপন গড়ে তুলতে না পারে। তারপরেও যেখানেই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে। জনসচেতনতার জন্য মানুষের নিরাপত্তার জন্য সড়ক ছেড়ে দিয়ে নিজস্ব জায়গায় স্থাপনা গড়ে তোলার জন্য আহবান জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
সড়কের পার্শের চা দোকানদার রমজান আলী জানান, ‘আমরা সারাদিন চা বিক্রি করে সংসার চালাই। আমাদের মতো গরিব মানুষের স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে। আর বড়লোকের স্থাপনা গুলো আস্তে আস্তে ভাংগা হচ্ছে যেন কোন ক্ষতি না হয়। এখানেও বৈষম্য করা হচ্ছে।’ ফুল ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, যখনি নতুন কর্মকর্তা আসে, তখনই আমাদের দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
আরেক ব্যবসায়ী শাহদত হোসেন বলেন, সব সময় গরিবদের স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হয়।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপসচিব পদমর্যাদা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফাকুল হক চৌধুরি, সড়কের উপরে যে অবৈধ স্থাপনা আছে সব উচ্ছেদ করা হবে। অনেক গুলো স্থাপনা মালিকরা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে। যারা সরিয়ে নিচ্ছেন না তাদের গুলো আমরা বুলড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছি। উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাসহ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নাটোর শহরের বড়হরিশ থেকে রাজশাহী বাইপাস বনবেলঘড়িয়া ও পৌর শহরের প্রধান সড়কের পার্শের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দুই আগে থেকে মাইকং করান নাটোর সড়ক বিভাগ।