চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচনে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কৃতী সন্তান ছাত্রনেতা সাঈদ বিন হাবিবকে সংবর্ধনা দিয়েছে কিশোরগঞ্জবাসী।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, জেলা আমীর ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী, জেলা সেক্রেটারি ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ নাজমুল ইসলাম, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ আজিজুল হক কাজল, সদর আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওঃ সানাউল্লাহ, এম.এইচ লোকমান, অ্যাডভোকেট খালেদ হাসান জুম্মন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুন, পাকুন্দিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মোঃ স্বপন হোসেন, কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম শামীম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ফকির আল মাহবুবের পরিচালনায় সংবর্ধিত অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে কিশোরগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান সাঈদ বিন হাবিবেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট এর মাধ্যমে সংবর্ধনা প্রদান করেন।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নেতৃত্বে এগিয়ে আসা কিশোরগঞ্জের মেধাবী তরুণরা জেলার গৌরব বাড়াচ্ছে। তাঁদের এই সাফল্যে তরুণ প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

Untitled

এদিকে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এবং পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসুর জিএসকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে এক আনুষ্ঠানিক বিজয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় পাকুন্দিয়া-কটিয়াদি রোডস্থ পুলেরঘাট বাজারে পিজি মেডিকেল সেন্টারের সামনে।

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুইশতাধিক মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে কটিয়াদি থেকে পুলেরঘাট বাজারে এসে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কটিয়াদি উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার, পাকুন্দিয়া উপজেলা সেক্রেটারি আ.ন.ম আব্দুল্লাহ মোমতাজ, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম, পৌর আমীর মাওলানা মোঃ নাজমুল হক, সেক্রেটারি মোজাহিদুল ইসলাম, পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখার ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি আকরাম হোসাইন, কটিয়াদি উপজেলা বনগ্রাম ইউনিয়নের ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি আকাশ, সেক্রেটারি হাবিব, বনগ্রাম ইউনিয়ন যুব বিভাগের সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বনগ্রাম শাখার সহকারী সেক্রেটারি ও বায়তুল মাল সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ আল হাদী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নবনির্বাচিত চাকসু জিএস সাঈদ বিন হাবিব ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শফিকুল ইসলাম মোড়ল, মাওলানা আব্দুল জব্বার ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাবৃন্দ।

অপরদিকে ভৈরব এ চাকসুর জিএস সাঈদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সকাল ৯ ঘটিকায় ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে সংবর্ধনা দেন ভৈরব উপজেলা জামায়াতের আমীর ও কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মো. কবির হোসাইন, উপজেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা মো. আব্দুল মতিন, বায়তুলমাল সম্পাদক আজিজুল হক প্রমুখ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব।

তিনি বলেন, “জুলাইয়ে আমাদের ভাইয়েরা যে স্বপ্নের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন এখনও অধরা। সংস্কার কমিশনের বহু বৈঠকের পর যে প্রস্তাবনা এসেছে, সেখানে একটি দল ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু জুলাইয়ের শহীদরা কোনো ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কাঠামো রক্ষার জন্য প্রাণ দেননি—তারা জীবন দিয়েছিলেন সেই কাঠামো ভেঙে দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কেমন হবে, সংবিধান কেমন হবে—সেই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণই। আর সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো গণভোট। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলোও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। যারা ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে আগের মতো ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চায়, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে—ইনশাআল্লাহ।”

শেষে তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর আমরা ভারতীয় আগ্রাসন ও বহিঃচাপের মুখে নাকাল ছিলাম। আগামীর বাংলাদেশে আমরা কোনো বিদেশি আগ্রাসন—ভারতীয় হোক বা অন্য কোনো দেশের—মেনে নেব না।”

এই সংবর্ধনায় ডাকসু সদস্য আফসানা, চাকসু সদস্য মুশফিকুর রহমান, রাকসু বেগম খালেদা জিয়া হল সংসদে ভিপি সাবরিনা মারজানকে সংবর্ধনায় দেয়া হয়।