বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ব্যাথা নিরাময়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি খলিলুর রহমান (৫৫) নামে এক দরিদ্র রিকশা চালক। কামরুল ইসলাম নামে এক ভূয়া ডাক্তার থেরাপি দেয়ার নামে তার শরীরের বড় একটি অংশ ঝলসে দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই ভূয়া ডাক্তারকে হাতেনাতে ধরে এক লাখ টাকা জরিমানা ও রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের সাজা দিয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) উপজেলার রাত ১১টার দিকে শেখেরখীলের আব্দুর রহিমের পুত্র কামরুল ইসলাম নামের এক ভূয়া ডাক্তারের নাপোড়াস্থ চেম্বারে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় কোমর ও পিটের ব্যাথা নিয়ে বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আলিবলি পাড়া এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে দরিদ্র রিকশা চালক খলিলুর রহমান নাপোড়া বাজারস্থ শেখেরখীল এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে কামরুল ইসলামের চেম্বারে যান। তিনি দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে আসছিলেন। এদিকে থ্যারাপি দিতে গিয়ে রিকশা চালক খলিলুর রহমানের শরীর ঝলসে গেলে তার আর্তচিৎকার লোকজন ছুটে আসেন। এসময় কামরুল ইসলাম তাকে চেতনা নাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে রাখেন। পরে রবিবার রাত ১১ টার দিকে অরেকটা অচেতন অবস্থায় রিকশা চালক খলিলুর রহমানকে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসেন আত্মীয় স্বজনরা। রোগীর সাথে ভূয়া ডাক্তার কামরুল ইসলামকেও উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা।
রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বাঁশখালী হাসপাতালে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও। ফেসবুক -ইউটিউব দেখে থেরাপি চিকিৎসা দিতেন বলে জনসম্মুখে স্বীকার করেন এই ভুয়া ডাক্তার কামরুল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। তিনি বাঁশখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক, রোগীর স্বজন এবং উপস্থিত এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন ইউএনও।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভূয়া ডাক্তার কামরুল ইসলামকে জেরা করেন। তিনি ফেসবুক ইউটিউব দেখে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা এবং নিজের দোষ স্বীকার করেন।