বরিশাল অফিস : গত বছরের তুলনায় চলমান বছরে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের ঘাটটির সর্বনি¤œ ইজারা প্রায় দ্বিগুণ করার পাশাপাশি মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকারি রেট সিট না মেনে টন ও মণ প্রতি অবৈধভাবে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ এনে রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ‘শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র’র নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘শহীদ জিয়া পাইকারি মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র’র সাধারণ সম্পাদক মো. জহির সিকদার। তিনি বলেন, এ মৎস্য মার্কেটটি ইজারা দেয়া হয় পদ্মাবতী ঘাট নামে। প্রতি বছর ঘাটটির ইজারা দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ২০২৪ সালে ঘাটটি ইজারার সর্ব নি¤œ দর ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এসময় সর্বোচ্চ দরদাতা ১ কোটি ৭৫ টাকায় ঘাটটি পায় একটি প্রতিষ্ঠান। তখন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মণ প্রতি ইলিশ ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। অথচ দরপত্রের সাথে দেয়া রেট সিটে উল্লেখ থাকে টন প্রতি ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। তাতে মণ প্রতি হয় প্রায় দেড় টাকা। সেখানে ব্যবসায়ীরা ওই আলোচনা না করে মণ প্রতি নিয়ে যাচ্ছে ১০০ টাকা। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু ২০২৫ সালে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে ঘাটটি ইজারার সর্ব নি¤œ দর দেয় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগামীকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ঘাটটি ইজারায় বেঁধে দেয়া নির্ধারিত ওই টাকা সর্ব নি¤œ দর রাখায় ফুঁসে উঠেছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কারণ- বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা না করে এমন কাজটি করেছে। এখন আবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ মনগড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘাটটি ইজারার সর্ব নি¤œ দর দিয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে প্রায় দ্বিগুণ।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ এমন কাজ করলে এই ঘাটে টোল বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে কম আসতে শুরু করবে। এর ফলে মাছের সংকট হওয়ার পাশাপাশি মাছের দাম অনেক বেড়ে যাবে।