সোনাগাজী (ফেনী) সংবাদদাতা : শহীদেরা মৃত নয়, বরং তারা জীবিত। আল্লাহর পক্ষ হতে তারা রিজিক প্রাপ্ত। শহীদ একরাম ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন এবং প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। তিনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের প্রেরণার উৎস। শহীদ একরামের রেখে যাওয়া দায়িত্ব তার উত্তসুরীদেরকে নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে। গতকাল (শুক্রবার) বিকালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭৪ তম শহীদ একরামুল হক খানের নিজ জন্মস্থান সোনাগাজীর সফরপুর গ্রামের তুলাতলী বাজারে শহীদ একরামুল হক স্মৃতি পাঠাগারের উদ্ভোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। পাঠাগারের সাবেক সভাপতি ও সাউথ আফ্রিকা অব ইসলামীক ফোরামের সহ-সভাপতি মেছবাহ উদ্দিন ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও সাবেক ফেনী জেলা আমীর অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁঞা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডাঃ ফখরুদ্দিন মানিক। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. মোহাম্মদ মোস্তফা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ফেনী জেলা সেক্রেটারি ইমাম হোসেন আরমান, শহীদ একরামের সহপাঠি আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ ইলিয়াছ ভূঁঞা লিটন, সিলোনিয়া আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাও. গিয়াস উদ্দিন, আমিরাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোহাম্মদ খুরশিদ আলম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ৩ জুন উপজেলার মিয়ার বাজারে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি এবং ছাত্র দলের চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা শহীদ একরামকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে ৫ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন।