দীর্ঘ ২৩ বছর পর শিবগঞ্জের আনারুল হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই মামলায় একমাত্র আসামী আজিজার রহমানকে (৬২) যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সম্প্রতি বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক রাজু আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী (পিপি) আজাদ হোসেন তালুকদার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, আজিজার রহমানের সাথে একই গ্রামের আনারুলের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০০২ সালের ১ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম তার ভগ্নিপতির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কৃষ্ণপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়ির সামনে পৌছিলে ওঁৎ পেতে থাকা আজিজার রহমান তাকে আকস্মিকভাবে পেটে ছুরিকাঘাত করেন। গুরুতর আহত আনারুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এ সময় রক্তমাখা ছোরাসহ আজিজারকে হাতেনাতে আটক করে গ্রামবাসী। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আনারুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এঘটনায় আজিজার রহমানের নামে থানায় হত্যা মামলা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে আজিজার রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি বলেন, সাক্ষীদের নিয়মিত হাজিরা না দেওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। আদালতের রায়ে আসামী আজিজার রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- প্রদানের পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার ৯০ হাজার টাকা নিহত আনারুল ইসলামের পরিবারকে এবং অবশিষ্ট ১০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আজিজার রহমানকে অতিরিক্ত একবছর সাজা ভোগ করতে হবে। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার পর কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী আজিজার রহমানকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।