গাইবান্ধা সংবাদদাতা: সাঘাটার মুন্সীরহাটে সরকারি খেয়াঘাট দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি সম্পদ উদ্ধারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করার তিন মাসেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানায়, যমুনা নদীবেষ্ঠিত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুন্সীরহাটের “দক্ষিণ সাথালিয়া হাই মাষ্টারের মসজিদের সামনে হতে ভগিরছাও উত্তর সাথালিয়া চান্দে জহুরুলের বাড়ী পর্যন্ত” (পূর্ব-পশ্চিম) খেয়াঘাটটি প্রতিবছরের মতো এবারও ইজারা দেয় সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ।

১৪৩২ সালের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারাদার হিসেবে দায়িত্ব পান উত্তর সাথালিয়া গ্রামের মোনারুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, সাঘাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আতিক ও তার লোকজন তাকে ঘাটে মারধর করে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে খেয়াঘাটটি দখলে নিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া তুলছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, আমাকে সহ পরিষদের বেশ কয়েকজন মেম্বরকেও ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, খেয়াঘাটটি দখলের ঘটনা স্থানীয় ইউএনও, ডিডিএলজি ও জেলা প্রশাসকের কাছে গত তিনমাস আগে লিখিত ভাবে জানানো হলেও রহস্যজনক কারনে সরকারি সম্পদ উদ্ধারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান রতন, গোলাম হোসেন, আব্দুল হাই, হাবিজার রহমান, পামরুল ইসলাম, মনির হোসেনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ওই খেয়াঘাটটি সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ ইজারা দিয়ে আসছে।

এবার ১৪৩২ বাংলা সালের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন মোনারুল ইসলাম। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাঘাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক দলবল নিয়ে ইজারাদার মোনারুলকে মারধর করে ঘাট থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ঘাটটি দখলে নেন তারা।

এ বিষয়ে সাঘাটা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের সাথে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।