অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সাংবাদিকদের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদগুলো সঠিকভাবে প্রচার করছেন বলেই আমরা ভালো কাজ করতে আরো উৎসাহ পাচ্ছি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সফলতায় সাংবাদিকরাও অংশীদার বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে তা সংশোধন করে দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমের ধর্ম বিটের রিপোর্টারদের সংগঠন রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরাম (আরআরএফ) এর নবনির্বাচিত নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা আরআরএফ’র নবনির্বাচিত নেতাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, ধর্মসচিব এ. কে. এম. আফতাব হোসেন প্রামাণিক। আরআরএফ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, অর্থ সম্পাদক রকীবুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হাবিব, দফতর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম এবং নির্বাহী সদস্য শামসুল ইসলাম, আহমেদ জামাল, কামরুজ্জামান বাবলু, মহসিনুল করিম লেবু ও মিয়া হোসেন। এছাড়া ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যেসব কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অনেকেই স্বৈরাচারের দোসর বলে আখ্যায়িত করেন জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই তাদের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিতে বলছেন। কিন্তু এর সাথে হাজার হাজার লোক জড়িত। চাইলেও এদের সরানো সম্ভব না। যারা আছেন তারা সৎ বা ডেডিকেটেট কিনা সেটা দেখার বিষয়। তবে এরা যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সে বিষয়ে আমরা নজর রাখছি।

সাংবাদিকদের গঠনমূলক সমালোচনা করার আহবান জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় বা হজকেন্দ্রিক নিউজ করার সময় মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কী তা একইসাথে উপস্থাপন করলে সেই নিউজ গ্রহণযোগ্য হবে। না হয় একপেশে সংবাদ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, কেউ অসত্য নিউজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া বা মানহানির মামলা করা সেটা আমরা চাই না। তবে আমাদেরও ভুলত্রুটি থাকতে পারে।