বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, বিলডাকাতিয়ার দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু করেছে। ডুমুরিয়ার শৈলমারী নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য নদী ড্রেজিং, ২৪টি খাল পুনঃখনন এবং ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পগুলোর ওপর এ সমীক্ষা চলছে। সমন্বিত টোটাল এলাকার পানি কীভাবে নিষ্কাশন করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার শৈলমারী রেগুলেটর পরিদর্শনে এসে তিনি এ সব কথা বলেন।

এরপর তিনি কালিঘাট রেগুলেটর, রংপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পানিবন্দী এলাকা এবং হামকুড়া নদীর অববাহিকা ৯১ এর কাটিং পয়েন্ট (সন্ধ্যার খাল) পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিলডাকাতিয়ার পানি কালিঘাট রেগুলেটর দিয়ে ময়ুর নদীতে নিষ্কাশনে পূর্বে যে বাধা ছিল, তা উভয় পক্ষের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানপূর্বক রেগুলেটর খুলে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কালিঘাট খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। এদিকে, মৃত হামকুড়া নদী পুনরুজ্জীবনসহ সংশ্লিষ্ট বিলগুলোতে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ সময় বাপাউবো’র মহাপরিচালকের সফরসঙ্গী ডিজাইন সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, যশোর পানি উন্নয়ন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, এসডি মো. আতিকুর রহমান, গুটুদিয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার সরদার জাহিদুর রহমান, এসও তরিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হামিদুর ইসলাম ও অজয় বিশ্বাস, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জিএম আমান উল্লাহ, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহাকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মোক্তার হোসেন, জেলা কৃষকদল সভাপতি মোল্যা কবির হোসেন, রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ মন্ডল, মোল্যা মাহাবুর রহমান, জিএম সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।