রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বাণিজ্যিক মেলার আয়োজনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে আয়োজক ও স্থানীয়দের সঙ্গে। নামাজের স্থানে গান-বাজনা ও বিনোদনমূলক কর্মকা- ঠেকাতে একাট্টা এলাকাবাসী। মেলা বন্ধের বিপক্ষে অনর আয়োজক কমিটি।
এদিকে এলাকাবাসীর বাধা উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনেও মেলা চালিয়ে যাচ্ছেন আয়োজকরা। মেলা বন্ধ না হওয়ার ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে দুই ঈদের নামাজ, স্থানীয়রা মারা গেলে যানাজার নামাজ, ওয়াজ মাহফিল সহ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সামাজিকভাবে এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ঈদগাহ ময়দানটি এলাকাবাসীর কাছে একটি পবিত্র স্থান হিসেবেই পরিগণিত। বেশ কিছুদিন যাবত বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় উপজেলার শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কনক ও তার অনুসারীরা বৃক্ষ ও কুটির শিল্প মেলা আয়োজনের জন্য ঈদগাহ মাঠ কে দখল করে সাজ সজ্জার কাজ করছিল। এদিকে স্থানীয় একজন লোক মারা গেলে তার জানাজার নামাজের জন্য এলাকাবাসী ঈদগাহ ময়দানে নিয়ে যায়। মেলার নামে ঈদগাহ দখলের কারণে সেখানে জানাজার নামাজ পড়তে না পেরে। ঈদগাহের পবিত্রতা রক্ষায় অবিলম্বে মেলা বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে শুক্রবার (১ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছে শতাধিক মুসল্লি ও স্থানীয় এলাকাবাসি। এসময় দ্রুত মেলা বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা। এদিকে মেলা বন্ধ করতে নারাজ আয়োজকরা। চার দিন যাবত চলমান রয়েছে তথাকথিত ‘রূপগঞ্জ কৃষি ও কুটির শিল্প মেলা। কৃষি বা কুটির শিল্পের কিছুই নেই এখানে বরং চলছে বেপরোয়া গান-বাজনা, তরুণ-তরুণীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, এবং বাণিজ্যিক বিনোদনের নামে অসামাজিক কর্মকা-।
এলাকাবাসীর দাবি, মেলার আয়োজন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং কোনো বৈধ অনুমতি ছাড়াই তা পরিচালিত হচ্ছে। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আয়োজকরা এ কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেলার সঙ্গে উপজেলার শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কনক ও তার অনুসারীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী দ্রুত মেলা বন্ধ করে ঈদগাহ মাঠের ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা এবং সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।