চট্টগ্রামের রাউজান থানার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সমন্বিত বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলী। জেলা পুলিশ, র‌্যাব-৭, নৌ-পুলিশ ও ৯ এপিবিএন যৌথভাবে পরিচালিত এ অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার নগরের ২ নম্বর গেইটে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকা-, অবৈধ অস্ত্রধারী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বুধবার (১৯ নভেম্বর) গভীর রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাউজানের নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পূর্ব-পশ্চিম গুজরা, সুলতানপুর, কদলপুর, রাউজান ইউপি ও পৌরসভা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। একই সময়ে ১৭টি চেকপোস্ট স্থাপন করে চলন্ত যানে তল্লাশিও করা হয়।

অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৮টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১৪টি ছোরা, ৩টি রামদা, ২টি চাপাতি, ২টি তলোয়ার, ১টি কিরিচ ও একটি ইলেকট্রিক কাটার। চেকপোস্টে আটক করা হয় ২৮টি মোটরসাইকেল ও একটি ট্রাক। মোটরযান আইনে দায়ের করা হয় ৩৭টি মামলা। বিভিন্ন অভিযোগে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৭ এর অভিযানে অতিরিক্তভাবে উদ্ধার হয় ৩টি এলজি, ২টি তলোয়ার ও ১টি কিরিচ।

পুলিশ সুপার জানান, রাউজানের আলোচিত ব্যবসায়ী হাকিম হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে; তাদের মধ্যে ২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটিতে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ১টি চায়না রাইফেল, ১টি শর্টগান, ২টি এলজি, ৮৫ রাউন্ড গুলী, ৭টি ম্যাগাজিন, ২টি রামদা, ৫টি ছুরি এবং একটি মোটরসাইকেল।

তিনি আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও ডিবির অভিযানে মোট ৫৭৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬২ রাউন্ড গুলী ও ২০৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে অস্ত্র আইনে দায়ের হয়েছে ৯৬টি মামলা এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪০ জন। শুধু চলতি নভেম্বর মাসেই রাউজান থানা এলাকায় ১০টি অস্ত্রমামলা দায়ের হয়েছে; গ্রেফতার হয়েছে ৮ জন এবং উদ্ধার হয়েছে ২৪টি অস্ত্র, ৮৫ রাউন্ড গুলী ও ৩২টি কার্তুজ।