রাজশাহীতে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে’ রাজশাহীবাসীর জন্য ১৪ হাজার কর্মসংস্থান নামে প্রতারণার অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও রাজশাহীতে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

মহানগরীর পশ্চিম প্রান্তে নবীনগর মৌজায় ৩১ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এই হাইটেক পার্ক। ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর এর উদ্বোধন করা হয়। পার্কের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সিলিকন টাওয়ার, ডিজিটাল মিউজিয়াম এবং স্টার সিনেপ্লেক্স। এতে প্রায় ১৪ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখে যায় দশ তলা বিশিষ্ট জয় সিলিকন টাওয়ারের সম্পূর্ণটাই ফাঁকা। কোনো কক্ষে কোনো কর্মসংস্থান কার্যক্রম নেই। স্থানীদের অভিযোগ, এখানকার বিভিন্ন মালমাল চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। উল্লেখ্য, প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ছিল ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩৮ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। তখন ব্যয় বাড়ে ৪৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ২০২১ সালের জুনেও শেষ না হওয়ায় মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। আর এই সময় আরেক দফা ৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়। ফলে দুই দফায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে যায়। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩৫ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বাঘায় পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরি

রাজশাহীতে তালা ভেঙে এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে জেলার বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা আঠালিয়াপাড়া গ্রামে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

বাড়ি থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর হাতের দুটি স্বর্ণের বালা, একটি চেইনের লকেট ও এক জোড়া রূপার তোড়া চুরি হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম আশরাফুল আসেকিন রিপন। তিনি ওই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে এবং পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত। তার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ছেলে-মেয়ের লেখাপাড়ার সুবাদে তিনি রাজশাহীতে থাকেন।