বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বীর চট্টলার ইতিহাস ঐতিহ্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলনে শহীদ ফয়সাল আহমদ শান্ত ও ওয়াসিম আকরাম সহ ১২ জন শাহাদাত বরণ করেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদ পালাতে বাধ্য হয়েছে, ১৯৯১ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়েছিল। ৮ দলের আন্দোলন সফল করার জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান। সকল দল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে গেলে আল্লাহর সাহায্য আসবে।

তিনি বলেন, অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীর দোসরদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনরত ৮ দলের উদ্যোগে আগামী ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ চট্টগ্রাম লালদিঘীর মাঠে বিভাগের মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সকল দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

রোববার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর কার্যালয়ে আন্দোলনরত আট দলের চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতৃবৃন্দ যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় দেওয়ানবাজারস্থ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে ইসলামী একাডেমি (বিআইএ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মাওলানা এমদাদুল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খোরশেদ আলম, নেজামে ইসলাম পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আবু মোজাফ্ফর মোহাম্মদ আনাছ।