বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, প্রতিটি ভোটের মূল্যায়নে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভোটের কোনো বিকল্প নেই। দেশের মানুষ এমন একটি নির্বাচন চায়, যাতে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ জন্যই প্রয়োজন পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের আর এ দেশে কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। প্রশাসনের মধ্যে এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা ঘাপটি মেরে আছে। তাদের সরিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ যেসব দল ফ্যাসিবাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। তাদের বিচার করতে হবে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে নগরীর আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে পিআর নির্বাচন ব্যবস্থা প্রেক্ষিত বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের পরিচালনায় সভায় অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, ড. আবু রাবাবা, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মিম মিরাজ হোসাইন, মাওলানা শেখ মো অলিউল্লাহ, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, প্রফেসর জুলফিকার আলী, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

মহানগরী আমীর বলেন, পিআর পদ্ধতিতে ভোটাররা ব্যক্তি প্রার্থী নয় বরং দলকে ভোট দেন। তাঁরা বলেন, অনেকেই দাবি করছেন, এতে ভোটাররা তাদের আসনে সংসদ সদস্য কে হবেন, তা জানতে পারবেন না; কিন্তু এটা সঠিক নয়। কেননা প্রতিটি দলই আগে থেকে তাদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে রাখে। ফলে আসনভিত্তিক জনপ্রিয় প্রার্থীরাই নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে ভোটের প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব হবে। তিনি বলেন, যারা ৩৩ থেকে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রায় শতভাগ ক্ষমতা ভোগের সুবিধা নিতে চায়, তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। যারা দেশের রাজনীতিকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও পেশিশক্তির পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত রাখতে চায়, বিদেশে সম্পদ পাচার করে সুবিধা নেয়, তারাই এ পদ্ধতির বিপক্ষে কথা বলে। মূলত ৫৪ বছরের পুরোনো ব্যবস্থার ক্ষতিকর ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থেই তারা সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে।