হত্যাচেষ্টা মামলায় ৯ মাসের কারাবাস শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ই–ক্যাবের সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার পর আদালতের জামিন সংক্রান্ত নথি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় নারী কারাগারে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাত ১১টার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কারা সূত্রে জানা যায়, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার অন্তর্গত আজমপুর এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে গুলিবর্ষণের ঘটনায় টঙ্গী সরকারি কলেজের ছাত্র জুবায়ের হাসান ইউসুফ আহত হন।

পরবর্তীতে ২২ আগস্ট জুবায়ের থানায় মামলা করেন, যাতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০–২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে ছিলেন শমী কায়সারও।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর রাত ১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর উত্তরা সেক্টর–৪-এর একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করে। পরদিন তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে তিন মাসের জামিন পেলেও ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ সেই জামিন স্থগিত করে দেন। অবশেষে চলতি বছরের ১০ আগস্ট বিচারপতি এ এস এম আবদুল মবিন ও বিচারপতি মো. জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনরায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওলিন নাহার বলেন, "আদালতের নথি হাতে পাওয়ার পর নিয়মিত যাচাই-বাছাই শেষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির সময় কারা ফটকে তাঁর স্বজনরা অপেক্ষা করছিলেন।" অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরও তাঁর মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘ কারাবাস শেষে কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বের হয়ে শমী কায়সার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দ্রুত ঢাকা ফিরে যান। মামলার পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।