বগুড়ায় একজন পুলিশের নায়েক, দুইজন পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন আনসার সদস্যসহ চারজনকে ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি ইয়াবার চালান বেচাকেনার উদ্দেশ্যে তিন জন ব্যক্তি সাতমাথাস্থ হোটেল একাত্তরের সামনে অবস্থান করছে। অভিযানকালে তাদের নিকট হতে ৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর জানা যায় তাদের দুইজন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্য। গ্রেফতারকৃতরা হলেন জয়পুরহাট জেলার সদর ট্রাফিক কনস্টেবল/৭৭৫ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, আরআরএফ, রাজশাহীর কনস্টেবল /৯১১ মোঃ আব্দুল ওয়াহাব এবং আনসার সদস্য নং/৪৬০১৫ মো: আবু সুফিয়ান। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার হবার কিছুক্ষণ পূর্বে আরো ১৫০ পিস ইয়াবা তারা একজনের কাছে বিক্রি করেছে। ক্রেতার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে অভিযান পরিচালনা করে তার নিকট হতে আরো ১৫০ পিস ইয়াবা সহ ক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী সময় জানা যায়, সেও একজন পুলিশ সদস্য। তার নাম নায়েক /৩১৫ মোঃ আব্দুল আলিম। তিনি বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। গ্রেফতারকৃত সবাইকে ডিবি অফিসে নেয়ার পর জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার ট্রাফিক কনস্টেবল মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের নিকট থাকা ৮৫০ পিস ইয়াবা বিক্রির উদ্দেশ্যে আরআরএফ, রাজশাহীর কনস্টেবল ওয়াহাব এবং আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানকে সংগে নিয়ে বগুড়ায় আসেন। প্রথমে বগুড়া জেলায় কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীমের নিকট ১৫০ পিস বিক্রি করেন। পরবর্তীতে বাকি ৭০০ পিস বিক্রির সময় ডিবি টীমের কাছে তারা গ্রেফতার হন। জানাগেছে, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিন ডিএমপি এবং র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন। ৫ আগস্ট এর পর সে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি হয়ে আসেন। গ্রেফতারকৃত তিনজন পুলিশ সদস্য এবং একজন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।