নান্দাইল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। প্রায় আঠারো কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের নান্দাইল উপজেলাধীন ৯ কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগ অংশেই বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। এ যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে জানা যায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ঢাকা যাতায়াত করে। এছাড়াও হোসেনপুর উপজেলার শত শত যাত্রী ও ব্যবসায়ীর জন্য এটি একটি অপরিহার্য রাস্তা। নান্দাইল থেকে শতাধিক 'জলসিঁড়ি' বাসসহ অটোরিকশা, টমটম এবং অন্যান্য সহস্রাধিক যানবাহন প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। সড়কের নান্দাইল পৌরসদর থেকে বাকচান্দা বাজার পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। রাস্তার বিটুমিন ও সুরকি উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

'জলসিঁড়ি' পরিবহনের চালক শামীম জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারণে একদিকে যেমন গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় লাগছে, তেমনি প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। অটোরিকশা চালক লিমন বলেন, "পেটের দায়ে গাড়ি চালাই। কিন্তু পুরো রাস্তা খানাখন্দ ও অসংখ্য গর্তে ভরা থাকায় গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।"

নিয়মিত এই সড়ক ব্যবহারকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, "কাজের প্রয়োজনে প্রায় প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।" স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু হানিফ মিয়া বলেন, গত সপ্তাহে পৌরসভা থেকে কিছু ইট-সুরকী দিয়েছিল, তা উঠে গিয়ে পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী মো: আব্দুল মালেক বিশ^াস জানিয়েছেন, সড়কটির বেহাল দশার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।