বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আল্লামা সাঈদী আজীবন শাহাদাতের তামান্না লালন করতেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন, কুরআনের তাফসিরের ময়দানে ফিরে আসতে এবং তাফসির করতে করতে মৃত্যুবরণ করতে। তিনি বলেন, তিনি কুরআনের জন্য পাগল ছিলেন। কুরআনী ব্যবস্থা চালুর জন্য পেরেসানীতে থাকতেন। যারাই তার কাছে যেতো, সবাইকে কুরআন পড়তে বলতেন, নামাজ পড়তে বলতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। তিনি যেই কুরআনের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন, আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে, যতদিন পর্যন্ত কুরআনের রাজ কায়েম না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়িগেট বাসস্ট্যান্ডে ফুলবাড়ীগেটবাসীর উদ্যোগে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ডকুমেন্টারি ও ভিডিও মাহফিল প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ফুলবাড়ীগেট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন পারভেজ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মু. মুশাররফ আনসারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এস এম আজিজুর রহমান স্বপন, আর আর এফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা এবিএম মহিউদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে ফুলবাড়ীগেট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান, ফুলবাড়ীগেট আল হেরা মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল রেজাউল কবির, বিশিষ্ট সংগঠক শেখ আলাউদ্দিন, সমাজসেবক হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর বলেন, আল্লামা সাঈদী গোটা জীবনটা কুরআনের পথে কাটিয়েছেন। ৮৪ বছরের মধ্যে ১৩ বছর জেলে কাটিয়েছেন আর ৫০ বছরের বেশি সময় কুরআনের ময়দানে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি অবিচারের শিকার হয়েছেন। তার সাজাও বিস্ময়কর। একটি মামলায় ৪ জন বিচারপতির মধ্যে ৩ জন ভিন্ন ভিন্ন রায় দিয়েছেন। একজন বিচারপতি তাকে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তার যুক্তি রায়ে লিপিবদ্ধ রয়েছে। একজন বিচারপতি মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। আর বাকী ২ জন বিচারপ্রতি যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। সেখানে যাবজ্জীবনের ব্যাখ্যা দেন আমৃত্য কারাদন্ড । তিনি বলেন, রায় অনুযায়ী কারাদন্ডতো মৃত্যু পর্যন্ত ছিল। মৃত্যুর পরে তো কোন সাজা ছিল না। তাহলে তার লাশের সাথে এমন আচরণ করা হলো কেন? কেন লাশ পরিবারের কাছে দেয়া হলো না? কেন পরিবারের সদস্যদের দেখতে দেয়া হলো না? এর চেয়ে মানবতা বিরোধী অপরাধ আর কী হতে পারে? দীর্ঘ ১৩ বছর তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন। সেখান থেকেও তিনি দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি মানুষকে নামাজের কথা বলতেন, কুরআনের কথা বলতেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।