অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অক্টোবর মাসে পরিচালনা করা হয়েছে ৬৯৮টি অভিযান। এসব অভিযানে ৬ হাজার ৯১২টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, প্রায় ১০ কিলোমিটার বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, ৬টি বিতরণ কোম্পানিতে মোট ৫১টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় জমা করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ও ২টি এফআইআর রুজু হয়েছে। অন্যদিকে, জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২টি। অবৈধ সংযোগের সাথে জড়িত ব্যক্তির নামে ২টি মামলা ও ১৫ জন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, মোবাইল কোর্টে ১ জন ব্যক্তিকে ৫ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
পেট্রোবাংলার আওতাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে স্থানীয় জনগণ ও বৈধ গ্রাহকগণ ভিজিলেন্স টিমকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে। এছাড়াও অনেকেই গোপনে অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য প্রদান করছে। দেশের একজন সচেতন নাগরিক ও বৈধ গ্যাস গ্রাহক হিসেবে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তথ্য প্রদান, সর্বসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে পেট্রোবাংলা।
দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ক্রমশ কমে যাওয়ায় এবং উত্তরোত্তর গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হচ্ছে। যা বর্তমানে দেশে মোট গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩০ শতাংশ। আমদানিকৃত গ্যাস ও দেশে উৎপাদিত গ্যাস ব্লেন্ডেড কস্টের চেয়েও কম মূল্যে গ্রাহকের নিকট গ্যাস বিক্রয়ের ফলে পেট্রোবাংলাকে প্রতি বছর বিপুল সরকার নিকট হতে পরিমাণ ভর্তুকি নিতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, কিছু অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অবৈধ উপায়ে গ্যাস ব্যবহার করছে। অবৈধভাবে ব্যবহার হওয়া গ্যাসের কোনো মূল্য যেমন আদায় করা সম্ভব নয়, তেমনি অনিরাপদভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রাণহানীসহ অনেকেই সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে। অবৈধভাবে ব্যবহার হওয়া গ্যাসের মূল্য আদায় সম্ভব না হওয়ায় সময়মতো গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এছাড়া, অবৈধ গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করা গেলে বৈধ গ্রাহকগণের গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।