হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা : কৃষি প্রতিবেশ চর্চা করি, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করি, এই প্রতিপাদ্যে মানিকগঞ্জের বরুন্ডিতে কৃষক নেতৃত্বে প্রয়োগিক ধান গবেষণা প্লটে আমন মৌসুমে ধানের জাত বাঁছাইয়ে বারসিকের মাঠ দিবস ও নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সকাল দশটায় মানিকগঞ্জের হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি এলাকায় গোঁসাই দাস এর বাড়িতে বেসরকারি সংস্থা বারসিক এর সহযোগিতায় বরুন্ডি কৃষক কৃষাণী সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ। এর আগে ৮২ জাতের ধানের প্রদর্শনী ফসলি মাঠ পরিদর্শন করেন অতিথি বৃন্দ। এরপর গোসাই দাসের বাড়িতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র ফার্টিলাইজারে ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকে। এ জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে যাতে কৃষক পর্যায়ে জৈব সার কিচো সারসহ এই সকল সারগুলো ব্যবহার করে। এতে করে রাসায়নিক সারের উপর চাপ কমবে। কৃষক যদি নিয়ম মাফিক জমিতে সার ব্যবহার করে তাহলে ফসল ভালো হবে, জমির মাটি ও ভালো থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির জাত এবং স্থানীয় জাতসহ এখানে ৮২ টি প্রজাতির ধান প্রজনন করা হয়েছে।
এটি দিয়ে সাধারণত দেখা হচ্ছে এই এলাকার জন্য আসলে কোন ধানটা বেশি উপযোগী। যেটা বেশি উপযোগী সেটা এখানকার কৃষকরা বুঝে শুনে সেই ধানটাকে বেছে নিবে। (সিলেক্ট করবে)। এজন্য বলা হয় কৃষকরা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী। কারণ তারা এই কাজটি করছেন এবং করে দেখবেন কোন জাতটি ভালো। মানিকগঞ্জে অনেক ধরনের জাত আছে যেমন ভাওয়াইল্যা, দীঘা,, হিজলদিঘী, পরামানিক, ঢেপু, বড়ণ ধান ইত্যাদি। এছাড়াও তারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতের ধান নিয়ে এসে এখানে একটা গবেষণা কার্যক্রম চালু করেছে। এখানে স্থানীয় জাতেরও যে সংরক্ষণ রয়েছে তা ভবিষ্যতে ধরে রাখার যে প্রক্রিয়া তা চলমান রাখার
আহবান জানান এবং কৃষি কর্মকর্তা বারসিক ও তার সকল অঙ্গ সংগঠনের কৃষক ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষি অফিসার মতিউর রহমান, উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার, কৃষি গবেষক মাহিনুর, গুরুদাস সরকার, শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।