ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গাজীপুরজুড়ে শুরু হয়েছে টানা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ।
বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, জুলাই-৩৬ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রথমে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত গভীর হওয়া পর্যন্ত তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান, যা চলে রাত প্রায় ২টা পর্যন্ত। বিক্ষোভকারীরা হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তায় ফের বিক্ষোভ শুরু করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে তারা প্রশাসনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়, এটি একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। এ সময় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সাময়িক যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এদিকে হাদির মৃত্যুর খবরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এলাকায়ও চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শত শত শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিববাড়ি পর্যন্ত যান এবং সেখানে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এর ফলে ঢাকা-শিমুলতলী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একই দাবিতে টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
হাদির হত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরের শিববাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গীর কলেজ গেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ চলায় পুরো নগরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দোষীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।