রাজশাহীর বিশিষ্ট সমাজসেবক রাজশাহী মহানগরীর ছোট বনগ্রাম নিবাসি আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী (৮২) মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহী নগরীর একটি ক্লিনিকে ইন্তিকাল করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি বেশ কিছুদিন যাবত লিভার ও হৃদযন্ত্রের রোগে ভুগছিলেন।
মরহুম গোলাম রব্বানী দৈনিক সংগ্রামের বিশেষ প্রতিনিধি ও রাজশাহী ব্যুরো চীফ সরদার আবদুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ বিহাই (বড় পুত্রের শ্বশুর)। তিনি ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান হিসাব কর্মকর্তা। তাঁর স্ত্রী রাজশাহী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) জিনাত মহল। বড় ভাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (মরহুম) ডা. মো. শহীদুল্লাহ। আরেক ভাই অধ্যাপক আমানুল্লাহ ছিলেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক। মরহুম গোলাম রব্বানী এলাকায় একজন জনদরদী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় মসজিদ, স্কুল, ঈদগাহ প্রভৃতি ধর্র্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যাসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
চাচার হাতে ভাতিজা খুন : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে চাচার হাঁসুয়ার কোপে ভাতিজা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আঁচুয়াভাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক কাওসার আহমেদ রকি (২৭) স্থানীয় মজিবর রহমানের পুত্র। ঘটনার পর পালিয়েছেন তার চাচা রবিউল ইসলাম (৩০)।
গোদাগাড়ী থানার পুলিশ জানায়, কাওসার আহমেদ ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঈদে বাড়ি এসেছিলেন। দুপুরে পারিবারিক কলহের জেরে চাচা রবিউল ইসলামের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে চাচা রবিউল ইসলাম হাঁসুয়া দিয়ে কাওসার আহমেদকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রামেক হাসপাতালে নেয়ার পথে কাওসারের মৃত্যু হয়। তখন পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়ি নিয়ে যান।