DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

সিলেটে জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

এটিএম আজহার কারগারে কেন জাতি জানতে চায় ---রফিকুল ইসলাম খান

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন- ছাত্র জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। প্রধান বিচারপতিকেও পালাতে হয়েছে।

সিলেট ব্যুরো
Printed Edition

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন- ছাত্র জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। প্রধান বিচারপতিকেও পালাতে হয়েছে। সেসব জুডিশিয়াল কিলারদের প্রহসনের বিচারে জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে কেন জাতি জানতে চায়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত ইতোমধ্যে অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করবেন না। আমরা জীবন দিয়েছি, রক্ত দিয়েছি, জুলুম-নিপীড়নে শিকার হয়েছি। কিন্তু হার মানিনি। মানবোও না। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জননেতা এটিএম আজহার ভাইকে মুক্তি দিন। অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে তৎকালীন বিরোধী দলের সাজাপ্রাপ্ত সকলেই মুক্ত হয়েছেন। তাহলে আজহার ভাই এখনো জেলে কেনো? ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে ফ্যাসিস্টকে বিদায় করে আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন আর আজহার ভাই জেলে থাকবেন তা হবে না। ফ্যাসিস্টের যেসব দোসর সরকারের ভেতরে বাইরে রয়েছে আমরা তাদের চিনি। তারা জননেতা আজহারের মুক্তি বাধাগ্রস্ত করছে। এদের সরকার থেকে বিদায় করুন। অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে জামায়াত কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। সমাবেশ শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে সমাপ্ত হয়। মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে রাজপথে জামায়াতের মিছিল ঘিরে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সিলেট মহানগর ও জেলার আওতাধীন সকল উপজেলা পৌর থানা ও ওয়ার্ড শাখার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে পুরো সিলেট নগরী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।