চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে চোরাই তেল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই বিএনপি সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙ্গারচর বিওসি ঘাট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চোরাই পেট্রোলিয়াম তেল লেনদেনের দখলদারিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিরোধ চলছিল। এদিন সকালে দুই পক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে ঘাট দখলের চেষ্টা চালালে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন-জুলধা ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাহার (৪৬), আলমগীর, ইউনুস এবং শাহনুর। তারা সবাই ডাঙ্গারচর এলাকার বাসিন্দা এবং রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কর্ণফুলী নদীতে চোরাই তেল ব্যবসার দখল নিয়ে বিএনপির প্রভাবশালী দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। নদীঘাট, তেল লোড-আনলোডের সিরিয়াল ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবারের সংঘর্ষের সময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। আটককৃতদের মাটিতে উল্টো করে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শরীফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সেনাবাহিনী চারজনকে থানায় এনেছিল। পরে তাদের মধ্যে তিনজনকে আবার নিয়ে গেছে। বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।” এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।