গাজীপুরে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডার ইলিয়াস মোল্লাকে তার তিন সহযোগীসহ আটক করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শনিবার ভোররাতে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার ও মাস্টারবাড়ি এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর সেনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর একটি টিম ওই এলাকাগুলোতে অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ইলিয়াস মোল্লা। পরে তাকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার তিন সহযোগী—অপু, নাহিদ ও জাহিদ—কেও আটক করা হয়।

আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিশাল আকৃতির রামদা, ছুরি, চাপাতিসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ইলিয়াস মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে বাঘেরবাজারসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তিনি স্থানীয় জায়ান্ট টেক্সটাইল কারখানা এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির পেছনেও জড়িত ছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি সেনাবাহিনীর টহল টিমের সামনেই অস্ত্র প্রদর্শন করে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসের মহড়া দেন।

স্থানীয়রা জানান, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইলিয়াস মোল্লার গ্রেফতারে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন পর তারা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মোহাম্মদ আবদুল হালিম জানান, ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। আটক চারজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।