ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লব নিপীড়িত ও অধিকার হারা জাতিকে নতুন করে সঞ্জীবনী শক্তি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
গতকাল বুধবার লক্ষ্মীপুরের উত্তর তেমুহনীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে লক্ষ্মীপুুর শহর জামায়াত আয়োজিত জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে অসহায় ও দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহর আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ নিশানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ ও শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে ২ শ দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিলো। তারা দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য মাফিয়াতন্ত্রীরা জামায়াতের শীর্ষনেতাদের কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে একের পর এক শহীদ করে দেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। তারা ভেবেছিলো শীর্ষনেতাদের হত্যা করে জামায়াতকে নির্মূল করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাদের সে আশায় গুঁড়ে বালি পড়েছে। পতিত সরকারের শত জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করেই শহীদি কাফেলা মঞ্জিলের দিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে গেছে। ফলে জামায়াতে ইসলামী দেশে একটি অতি জনপ্রিয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের এ জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। আর এজন্য ১৯ তারিখের জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার কোন বিকল্প নেই। তিনি মহাসমাবেশ সফল করতে ময়দানে সকলকে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ^নবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ি পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভুল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন রূপে ফিরে আসবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।