জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন, আমরা আজো চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের কাছে বন্দি। এই ৩ ধরনের ব্যক্তির কাছ থেকে যদি আমরা দেশকে উদ্ধার করতে পারি, তাহলে আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করবো। আমরা ক্ষমতায় গেলে কাউকে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি করতে দিবো না। এই ৩ অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই অপরাধগুলো কমিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।
গত শনিবার রাতে নগরীর বিমানবন্দর থানার ৫ নং ওয়ার্ডে সেন্টার কমিটি গঠন ও জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখনকার চাঁদাবাজ থেকে আগের চোর-ডাকাতগুলো ভালো ছিল। এখন পানের দোকান, রিকশাওয়ালা, ভিক্ষুকের কাছ থেকেও চাঁদা নেওয়া হয়। চাঁদা নিতে নিতে এখন সবধরনের মানুষের কাছ থেকেই নেয়। মানুষ আর শান্তিতে নাই এই চাঁদাবাজদের কাছে। এজন্য আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে এসব থেকে রক্ষা করেন। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দিবে না।
গোলাম মওলার সভাপতিত্বে ও মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরের নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, বিমানবন্দর থানা আমীর মো. শফিকুল আলম মফিক, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আং সালাম। এছাড়াও এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাসমত মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, সৈয়দ তসলিম আলম, শফিকুর রহমান, বাবুল মিয়া, আব্দুল মনাফ, আবুল কালাম সহ আরো অনেকে। এদিন রাতে বিমানবন্দর থানার ৭নং ওয়ার্ডের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান। গত শনিবার বিকেলে সিলেট সিটি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসংযোগ করেন তিনি।
বিচারে গতিশীলতা বৃদ্ধি
(১ পৃঃ ৭-এর কলাম পর)
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) উম্মে কুলসুম সম্পা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটরের প্রতিনিধি ইমতিয়ার মাসরুর আল আমীন, সিভিল সার্জন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহীর প্রতিনিধি, সিনিয়র জেল সুপার, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ। সম্মেলনে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান সমস্যা এবং তা সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বক্তারা বিচার ব্যবস্থার গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং জনগণের আইনি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দ নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই সম্মেলন মামলা বিচার-নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।