সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায় সিরাজদিখান থানা যুবলীগের ১ম যুগ্ন আহবায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা এই মিছিল করেন।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে একজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তারা হলেন-উপ পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান সিকদার, কনস্টেবল শফিকুল ও কনস্টেবল বাদশা মিয়া।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত থাকলেও ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগের নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। প্রকাশ্য পুলিশের সামনে এই মিছিল দেখে সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মিছিলটি ইমামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় মিছিলের ঠিক পেছনে পুলিশের একটি টহল গাড়ি চলতে দেখা যায়, যা ঘটনাটিকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করে তুলেছে। শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড সংক্রান্ত রায় ঘোষণার পরদিন সকালেই আকস্মিকভাবে বের হওয়া এই মিছিল নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে। মিছিলের পরপরই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সিরাজদিখান উপজেলার নেতৃত্বে সিরাজদিখানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করতে দেখা গেছে। এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সিরাজদিখানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। এই ঘটনায়, মালখানগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন আনু, সতুর চর গ্রামের সোহেল ও রাঙ্গামালিয়া গ্রামের মন্টু নামে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর বলেন, মিছিল চলাকালীন সময়ে ডিউটিরত পুলিশের একটি টহল গাড়ি ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ বুজে ওঠার আগেই দ্রুত গতিতে মিছিলকারীরা চলে যায়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে ক্লোজড করা হয়েছে।