পিরোজপুর সংবাদদাতা : নেছারাবাদ থানার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার-ইন্দের হাট ও মিয়ার হাট। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই দুই বাজারে যাতায়াত করে জীবিকার তাগিদে, শিক্ষার খোঁজে কিংবা চিকিৎসাসেবায়। কিন্তু এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি আজ জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেতুটির প্রস্থ এতটাই সীমিত যে, একটি মাত্র ব্যাটারিচালিত অটো উঠলেই সেতুর দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগী কিংবা ব্যবসায়ী, সকলেই এই দুরবস্থার শিকার।

সেতুর আশপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক আধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল এবং সনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সংকীর্ণ সেতু পেরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে রোগী নেওয়া প্রায় অসম্ভব। অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জ্যামের কবলে পড়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারেন না নির্ধারিত সময়ে। এতে শিক্ষা ও চিকিৎসা দুই খাতেই ব্যাঘাত ঘটছে।

এই এলাকাটি শুধু বাজারকেন্দ্রিক নয়, এর এক পাশে রয়েছে বিসিক শিল্প নগরী, অন্য পাশে ফেরিঘাট। তবে সেতু এতটাই সরু যে, বড় কোনো পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারে না। ফলে ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে নদীপথে ট্রলারের সাহায্যে পণ্য পরিবহন করতে হয়, যা অর্থনৈতিকভাবে তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দীর্ঘমেয়াদি জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে, সেতুটিকে দ্রুত সংস্কার বা নতুন একটি প্রশস্ত ও আধুনিক সেতু নির্মাণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি, এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যেন দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।