কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা বিধৌত এলাকায় একটি মাত্র হাসপাতাল কাজিপুর উপজেলার বেড়ীপেটলে অবস্থিত। এই হাসপাতালটি উপজেলার প্রায় তিন লক্ষ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল। সরে জমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালে টিকিট কাউন্টারে সামনে প্রচন্ড ভীড়, প্রায় প্রতিদিন শত শত ভোগীর লাইন/চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, তাদের কেউ চর্ম, মেডিসিন, গাইনী, চক্ষু, নাক, কান, রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, এটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় করা হলেও ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে, তাও আবার জনবল সংকটের মধ্যে চলছে। এ হাসপাতালটিতে বর্তমানে ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম, ডেন্টাল ইউনিট, স্বাভাবিক প্রসব, সিজার, অন্যান্য ছোটখাট অপারেশন, প্যাথলজি, ফার্মেসি, করোনা ডেঙ্গু পরীক্ষা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য এএনসি কর্নার ও ইপিআই বা টিকাদান কর্মসুচি ও ডায়াবেটিস সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে প্রেসার ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের ও গর্ভবর্তী মহিলাদের ঔষধ দেয়া হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ও বিনামূল্যে ঔষধ দেয়া হয়।

নীচে বর্তমানে হাসপাতালটির শূন্য পদের সংখ্যা নীচে দেয়া হলো, ডাক্তার দরকার ৩৩ জন বর্তমানে ১২ জন আছে, ২১ জনের পদশূন্য রয়েছে। নার্সের পদসংখ্যা ৩৫ জন, বর্তমানে আছে ৩২ জন, ৩ জনের পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারী ৫ জনের স্থলে আছে ১ জন, শূন্য রয়েছে ৪ জন। অফিস সহায়ক ৮ জনের স্থলে আছে ৩ জন, ৫ জনের শূন্যপদ রয়েছে। সহকারী স্বাস্থ্য ও পরিদর্শক ১৩ জনের স্থলে রয়েছে ৯ জন, শূন্য রয়েছে ৪ জন। স্বাস্থ্য সহকারি ৬৪ জনের স্থলে রয়েছে ২৯ জন, শূন্য রয়েছে ৩৫জন। ক্লিনার ৫ জনের স্থলে রয়েছে ১ জন, ৪টি শুন্য পদ রয়েছে। ওয়ার্ড বয় ৩ জনের স্থলে দুইজন আছে, একটি শূন্য পদ রয়েছে। ষ্টোর কিপার, পরিসংখ্যানবিদ ও ক্যাশিয়ার একজন করে নেই। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অন্য একজনকে দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রাসেল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকট থাকায় যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানিয়েছি কিন্তু অদ্যবদী কোন ফলদয় হচ্ছে না।