ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েট গাজীপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়

এরপর ভিসি অধ্যাপক ড মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র‍্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্নারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ড মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড মোঃ আরেফিন কাওসার।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড মোহা আবু তৈয়ব,শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড মোঃ খসরু মিয়া সহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন বিভাগীয় প্রধান পরিচালক হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধান, শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বক্তা তার বক্তব্য বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনটি স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জনের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় অর্জন করেছিলেন সময়ের পরিক্রমায় দেখা গেছে দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঐক্যের মাধ্যমে সাহসী উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এই ঐক্য প্রমাণ করে আমাদের একতাবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি আমাদের পরাজিত করতে পারবে না

তিনি আরও বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের ওপর যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে পালন করব সম্মিলিত দায়িত্ববোধ ও কর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বৈষম্যমুক্ত উন্নত কল্যাণকর ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা গবেষণা ও জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে ডুয়েটকে আরও গতিশীল ও অগ্রসর করার ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড মোঃ আরেফিন কাওসার মহান বিজয় দিবসের রক্তিম শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ চিরন্তন অনুপ্রেরণা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক মানবিক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলে একযোগে কাজ করবে।

অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে বিশেষ মোনাজাত মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা এবং ক্যাম্পাস বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছিল।