জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে ৫ আগস্ট রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে দেশে দীর্ঘ মেয়াদী ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটেছে। দেশের মানুষ বাকশালী শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। ফ্যাসিস্টের পতন হলেও তাদের দোসররা রাষ্ট্র, সরকার ও বিভিন্ন সেক্টরে এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা জুলাই আন্দোলনের ঐক্যকে বিনষ্টের মাধ্যমে পতিত ফ্যাসিস্টদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করছে। দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার মধ্যে বিভক্তির রাজনীতি দেশের জন্য আত্মঘাতী হবে। ঐক্য বিনষ্টের সাথে জড়িতরা দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি গত শুক্রবার রাতে সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াত আয়োজিত সহযোগি সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। থানা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদারের পরিচালনায় দক্ষিণ সুরমা বাইপাস রোড সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের পাঠাগার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুকিত।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, জামায়াত দেশ-জাতির মুক্তি ও কল্যাণের জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণ ও মানবতার মুক্তিই হচ্ছে জামায়াতের রাজনীতির মূলনীতি। আমরা একটি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সকল বৈষম্য দূর করতে চাই। এই কাজে দেশপ্রেমিক জনতার অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাত মুক্তি লাভ করতে আমাদের কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে। দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হতে হবে।

হাফেজ মুহিবুর রহমানের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- থানা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মশাহিদ আহমেদ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কাজী জাফর আহমেদ ও পাঠাগার সম্পাদক সামছুল ইসলাম, পেশাজীবি সংগঠন সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের থানা সভাপতি কফিল উদ্দিন আলমগীর, থানা জামায়াতের অফিস সম্পাদক এডভোকেট নাজমুল হুদা তালুকদার, ২৯নং ওয়ার্ড সভাপতি শাহ আবুল কালাম আজাদ ও ২৬নং ওয়ার্ড সভাপতি এস এম মুসা প্রমুখ।