নোয়াখালী সংবাদদাতা : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শতবর্ষী জনগুরুত্বপূর্ণ একলাসপুর-কাজিনগর খালটি অবৈধভাবে দখল, ভরাট এবং দূষণে বর্তমানে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে। প্রায় দুই কিঃ মিঃ লম্বা ওই খালটি। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চললেও দখলদারদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্তমানে কাজিনগর খালটি দখলে-দখলে নালায় পরিণত হয়েছে। উপজেলার ৮নং বেগমগঞ্জ ইউপির জনগুরুত্বপূর্ণ উত্তর-দক্ষীণ লম্বা-লম্বি একলাসপুর-কাজিনগর ক্ষতিগ্রস্ত ওই খালটির পশ্চিম পাড়ে অধিকাংশ স্থানে অবৈধভাবে ভরাট করে খালের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে রেখেছে। খাল ভরাট করে চলাচলের রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আশপাশের কাজিনগর, দরবেশপুর ও দক্ষিণ নাজিরপুর এ তিন গ্রামের মানুষের অধিকাংশ বাড়ি ঘর ডুবে যায়। এতে করে ওই সব এলাকায় ইরি-বরো মৌসুমে সঠিক সময়ে তাদের ফসল উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ ফসলি জমি বে-আবাদী রয়ে যায়। দীর্ঘদিন থেকে এলাকাবাসী এ খালটি পানি প্রবাহ স্বাভাবিকসহ পুনঃখননের দাবি করে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টো অবৈধ দখলদার বাহিনী এবং স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু এলাকার নিরীহ লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-দমকি দিয়ে আসছে। কয়েকজন প্রবীন এলাকাবাসী জানান, ১৯২২ইং সনে সরকারি রেকডিয় এ খাল দিয়ে এক সময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত এবং এ খালে নদী এবং সাগরের মাছ ধরা পড়তো অথচ সেই সরকারী খালটি বর্তমানে দখলে-দূষণে নালায় পরিণত হয়েছে।

কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি রেকডিয় সরকারী খালটির উত্তরাংশে ২৩৫ একলাসপুর মৌজার সিএস সাবেক রেকডিয়-২৭১ ও ২৩৭ নং এবং বিএস বর্তমান রেকডিয় ৫৩২, ৪৬০ ও ৫৩৯ নং দাগস্থিত কাজিনগর এলাকায় পানি প্রবাহের কালভাট বন্ধসহ খালের উত্তর অংশে ভরাট এবং দখল করে নতুন করে বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করছে স্থানীয় এক ভূমিদস্যু। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষরিত এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারের গত ০৬.৫.২০২৫ইং তারিখের স্বাক্ষরিত একটি সুপারিশনামাসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন দেয়া হলেও এখনো কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।