খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আমাদের গমের চাহিদা বছরে ৭০ লাখ টন। কিন্তু আমাদের দেশে অভ্যন্তীন উৎপাদন হচ্ছে ১০ লাখ টন। বাকি ৬০ লাখ টনই আমরা আমদানি করি বেসরকারী ভাবে। আর সরকারী পরিমানে আমরা যে আমদানী করি সে কিছু পরিমান ও এম এস দিয়ে থাকি, রেশন আছে, পুলিশ আছে, আর্মি আছে, আনসার আছে, জেলখানা আছে। তিনি বলেন, চাউলের দাম কমে অনেকটা সহনশীল হয়ে আসতেছে। একেবারে পড়ে যাওয়াটাও ঠিক না। কারণ কৃষকরা ন্যার্য্য মূল্য পাইতে হবে। আমরা সেদিকে সর্তক আছি। কারণ কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাইলেই উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার একরামপুর এলাকায় সাইলো গুদাম নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টার আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সারাদেশে আমাদের আশানুরূপ রোরো ফসল উদপাদন হয়েছে সুতরাং আমরা বিভিন্ন জায়গায় মাল রাখতে পারি সে ব্যবস্থা করেছি। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গমের চাউলের গুদাম আগে থেকেই সি এস ডি ছিল। এখন এটাকে সাইলো করা হলো। খাদ্য মওজুদ করার জন্য এটা ভাল জায়গা। এটার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভাল। নদী পথে, সড়ক পথে সুবিধা আছে, একটু চেষ্টা করলে রেল পথেও যুক্ত হতে পারব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম, সিএসডির ব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান, সাইলো এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান (উপসচিব) এবং প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলামসহ প্রজেক্ট ও অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।