খুলনায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ডলি বেগমকে (৪৫) ছুরি দিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী মো. নাজমুল হাসান মোল্লা (৫০)। সম্প্রতি নগরীর লবণচরার ৪ নাম্বার কাশেম সড়কের সবুজপল্লীর মুসলিমার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল হাসান মোল্লা স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।
লবনচরা থানার ভারপপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, স্বামী নাজমুল হাসান ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতারি জখম করে হত্যা করে। নিহতের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘাতক স্বামীকে স্থানীয়রা গাছের সাথে বেঁধে রেখে পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পুলিশ জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী নাজমুল হাসান মোল্লা তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ডলি বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায়, বাম গালে, বাম সাইডে বুকে, কোমরের ডান সাইডে রক্তাক্ত জখম করে। প্রতিবেশীরা ডলি বেগমের চিৎকার পেয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন । ডলি বেগমকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডলি বেগমের স্বামীকে প্রতিবেশীরা ধরে রাখে এবং পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
যুবকের মৃত্যু
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ৩নং কয়রা গ্রাম ধান ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুর রহমান (৩৬) নামের এক যুবক মারা গেছে। সে কয়রা উপজেলার ৩নং কয়রা গ্রামের আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে। সম্প্রতি ৩নং কয়রা গ্রামের মাহবুব সরদারের ধান ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রহমানের বাড়ির পিছনে মাহাবুব সরদার নামের এক ব্যক্তি ধান ক্ষেত আছে। তিনি ধান ক্ষেতে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ধান পাহারা দেন। ভোরে আব্দুর রহমান ধানক্ষেত দিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার এখনও মামলা করেনি। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।