নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাছে উপেক্ষিত হচ্ছে হাইকোর্টের আদেশ। হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এক ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, গত ২০০০ সালের ১৭ জুলাই জেলার ডোমার উপজেলার বামুনিয়া জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ময়বুল ইসলাম। ২০০৬ সালে যথারীতি এমপিও ভুক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে অদ্যাবদি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জুলাই বিপ্লবের পরে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক করে কমিটি গঠনের সরকারী সিদ্ধান্তের পরে ডোমার উপজেলার তŤকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বি.পি.এ.এ ওই প্রধান শিক্ষককে ০৫/০৯/২৪ তারিখে নি¤œ আদালতের নিস্পত্তিকারী একটি পিটিশন মামলার বিষয়কে নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারী করে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। নোটিশের জবাব নেয়ার অপেক্ষা না করেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই বিধি বহির্ভুত ভাবে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বি.পি.এ.এ। এরপর গত বছরের ২০ নভেম্বর স্থায়ীভাবে চাকুরীচ্যুত করে ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে তাকে নোটিশ প্রদান করেন। আদালতের নিস্পত্তি বিষয়কে নুতন করে ইউএনও কতৃক বিচারের আওতায় আনা ও শাস্তি দেয়া আদালত অবমাননার পর্যায় কিনা এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ইউএনও কতৃক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি থাকাবস্থায় প্রধান শিক্ষককে অবৈধভাবে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম। রিট পিটিশন নং-২০৫/২০২৫। এ বছরের ১৯/০৫/২০২৫ তারিখে রিট নিস্পত্তি করে আদালত। আদালতের আদেশে প্রধান শিক্ষক ময়বুল ইসলাম কে বরখাস্ত এর সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষনা করে এবং দায়িত্ব পালনে কোন বাধা নেই মর্মে আদেশ জারি করে। আদেশ জারির কপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিয়ে রিসিভ করার পরেও অদ্যাবদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দায়িত্ব বুঝে দেয় নি। ময়বুল ইসলামের অভিযোগ, ইউএনও তাকে আবারো প্রসিডিউর মেইনটেন করে আনতে বলে কালক্ষেপন করছেন। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা সাঈদ তন্বী জানান, এখনো আদালতের কোন কাগজপত্র আমরা পাই নি। কাগজ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে তবে সকল প্রসিডিউর মেইনটেন করতে বলেন আবারো।