রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যার মামলায় গ্রেফতার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহাথির হাসান ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিন আসামি মাহাথিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে বুধবার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন আজাদ টাওয়ার এলাকার একটি বাসা থেকে হালিশহর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে ডিএমপির বনানী থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৪টার পর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘটনার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনার পরের দিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আটজনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় আরও ২০-৩০ জনকে। গত ২১ এপ্রিল এ মামলায় গ্রেফতার আল কামাল শেখ, আলভী হোসান জুনায়েদ ও আল আমিন সানির সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের মধ্যে কামাল গতকাল বুধবার আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। একই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে জুনায়েদ, সানি ও হৃদয় রিমান্ডে রয়েছেন।