কলাউজানের জনপ্রিয় পল্লী চিকিৎসক ও শ্রমিক নেতা ডা. নুরুল হকের হত্যাকারী সজিবসহ সকল অপরাধীদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দ। ডা. নুরুল হকের খুনি ও নির্দেশদাতা সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডা. নুরুল হক সমাজে একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। যার কারণে আজ সেই মাদক কারবারীদের হাতে থাকে জীবন দিতে হল। আমরা দেখতে পাচ্ছি লোহাগাড়ায় দিন দিন মাদককারবারীদের উৎপাত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু তাদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। তাই আমরা আইনশৃঙ্খলা উন্নতিতে অতি শীঘ্রই যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার রাতে লোহাগাড়ার কলাউজান ডা. এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ডা. নুরুল হকের নামাযে জানাযায় জামায়াত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জানাযায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য জাফর সাদেক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার আব্দুস সোবহান, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদীসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
এদিকে ডা. নুরুল হককে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা, শোক ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবুল কালাম।
এক যৌথ বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব কলাউজান কানুরাম বাজারে মাদকসেবি সজীব বড়ুয়া সরাসরি হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে জনপ্রিয় চিকিৎসক ডা. নুরুল হককে হত্যা করার নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও শোক জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডা. নুরুল হকের ঘটনায় জড়িত ঘাতক সজীবকে আটক করলেও ঘটনায় জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি কার্যকর করতে হবে। একইসাথে মাদক নির্মূলে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে ডা. নুরুল হকের শাহাদাত কবুল করে তাকে জান্নাতের অতি উচ্চ মর্যাদা দান করার জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করার জন্য দোয়া করেন।