DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

দেশের মাছের চাহিদা পূরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে

আদমদীঘির জিএম এ্যাকোয়া কালচার মৎস্য খামার

খাদ্য সামগ্রির আকাশচুম্বী দামের কারণে যখন মৎস্যচাষিরা মাছচাষে হিমশিম খাচ্ছেন তখন বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা সদরের জিএম এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেড নামের একটি মৎস্য খামার দেশে মাছের চাহিদা পূরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরিবেশের সাথে লড়াই করে অব্যাহত রেখেছেন মাছের উৎপাদন কার্যক্রম।

Printed Edition

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা : খাদ্য সামগ্রির আকাশচুম্বী দামের কারণে যখন মৎস্যচাষিরা মাছচাষে হিমশিম খাচ্ছেন তখন বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা সদরের জিএম এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেড নামের একটি মৎস্য খামার দেশে মাছের চাহিদা পূরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরিবেশের সাথে লড়াই করে অব্যাহত রেখেছেন মাছের উৎপাদন কার্যক্রম।

সারা দেশের মধ্যে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা মাছে চাষের জন্য একটি বিখ্যাত উপজেলা নামে পরিচিত। এই উপজেলার সরকারি ও বে-সরকারি শতশত জলাশয় ও পুকুরে মাছ চাষ করেন মাছ চাষিরা। মাছ চাষের সাথে জড়িত থাকার কারনে এই উপজেলার বেকারত্বের সংখ্যা খুব কম। উপজেলা সদরের পাশে কালাইকুড়ি গ্রামে ৫০ একর জলাশয়ে বিশাল আকারের ২৬টি পুকুর নিয়ে মাছ চাষ করছেন জিএম এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেড নামক একটি মৎস্য খামার। এই মৎস্য খামারটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার। মাছের খাদ্যসহ মাছ উৎপাদনে ব্যবহৃত সকল পন্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সেই তুলনায় বাজারে মাছের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় যখন মৎস্য চাষিরা মাছ চাষের হাল ছেড়ে দিচ্ছেন তখন জিএম এ্যাকোয়া কালচার পরিবেশের সাথে লড়াই করে দেশে মাছের চাহিদা পূরণে মাছ চাষ অব্যাহত রেখেছেন। ওই মৎস্যচাষ ফার্মে বেশ কয়েক বছর যাবৎ পাঙ্গাস, শিংমাছ, দেশী মাগুর, তেলাপিয়া, রুই কাথলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাজারজাতের জন্য চাষ করছেন। বিশাল আয়তনে এই মৎস্য খামারে তার প্রতি দিন ৮ মেট্রিক টন মাছের খাদ্য প্রয়োজন হয়। এসব মাছের খাদ্যের প্রয়োজনে তিনি নিজ উদ্যোগে জিএম ফিডমিলস লিমিটেড নামের একটি ফিড তৈরির কারখানা স্থাপন করেছেন। এই কারখানা থেকে উৎপাদিত মাছের খাদ্য নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে আশে পাশের এলাকায় মৎস্য চাষিদের নিকট সরবরাহ করে থাকেন।