ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস, এতে আগের শুল্ক মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ এই বাণিজ্য অংশীদারের রপ্তানির ওপর শুল্কের হার দাঁড়াল ৫০ শতাংশ। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে দেশটির ওপর মোট শুল্ক হার দাঁড়ালো ৫০ শতাংশে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় বাণিজ্য অংশীদারের ওপর অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্কহার।
গত বুধবার হোয়াইট হাউজ থেকে এক নির্বাহী আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আমি দেখতে পাচ্ছি যে, ভারত সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই আদেশে আরও বলেন, আইন অনুযায়ী, ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই নতুন শুল্ক ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে বারবার নিজের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় যেসব দেশ রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বা প্রতিরক্ষা বাণিজ্য করছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছিলেন, ভারত শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, আরও একটি ‘জরিমানার’ মুখোমুখি হবে। কারণ তারা রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম ও জ্বালানি কিনছে। তিনি বলেন, যদি তারা (ভারত) রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা চালিয়ে যায়, তাহলে আমি মোটেও খুশি হবো না। তারা যুদ্ধযন্ত্রকে জ্বালানি দিচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমরা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছি, আর সেই কারণেই আমাদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, যারা আমাদের সমালোচনা করছে, তারাই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে। অথচ আমাদের ক্ষেত্রে এই বাণিজ্য জরুরি জাতীয় স্বার্থরক্ষায়।