লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৯ জনের সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

দুদকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ধারা ১৯ এবং দুদক বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ২০ অনুযায়ী রেকর্ড বা তথ্য সরবরাহের জন্য এই অনুরোধ করা হয়েছে।

চলতি মাসের ১৪ তারিখে চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক বরাবর এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয় (স্মারক নং ০০.০১.০০০০.৭১৮.০১.০০৫.২৪)।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পৌর তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন, কর নির্ধারক আব্দুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম ও মোহাম্মদ ইসহাক, নক্সাকারক এবিএম আশরাফ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের স্বজনদের সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট ৩৯ জনের নামে কোনো জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান বা অন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের ভিত্তিতে নামজারি বা খতিয়ান সৃষ্টি হয়ে থাকলে তার ছায়ালিপি দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো চিঠিও পাইনি।’

উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম বলেন, ‘আমাদের আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা তা জমা দেব এবং তদন্তে সহযোগিতা করব।’

লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে এখনো কোনো দাপ্তরিক চিঠি পাইনি।’

দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।’

এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।