দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : গত এক সপ্তাহ ধরে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘন ঘন লোডশেডিং জনজীবনকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। একদিকে বৃষ্টিস্নাত আবহাওয়া, তবে গরমও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটÍসব মিলিয়ে অসহনীয় হয়ে উঠেছে এখানকার বাসিন্দাদের দিন ও রাত।

পৌর শহরে দিনে ২-৩ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে তা আরও বেশি। কখনো কখনো দিনে ৫ থেকে ৭ বার পর্যন্ত বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বিদ্যুৎ না থাকায় সরকার ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতেও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া বিদ্যুৎ নির্ভর ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্যবসার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও বিঘ্নিত হচ্ছে। অভিভাবকরা বলছেন, এই আধুনিক যুগে এসেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শিক্ষার এমন করুণ চিত্র সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

তুজারভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মোল্লা বলেন, “দিনরাত একাকার ভ্যাপসা গরমে ঘুমানো যায় না। বাইরে যাওয়া কঠিন, ঘরে থাকা আরও কষ্টকর। অসহ্য এক সময় পার করছি।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ (দাউদকান্দি জোনাল অফিস) এর এজিএম জানান, “আগামীকাল থেকে দাউদকান্দি পৌর এলাকায় অতিরিক্ত লোড সংযোজনের কাজ শুরু হবে। আশা করা যায়, আগামী মাস থেকেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে।” অপরদিকে জোনাল অফিসের ডিজিএম জনাব মুকিতুর রহমান সাহেব বলেন, আমাদের দাউদকান্দিতে প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটি নেই, তবে অতিরিক্ত এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎচাপ বাড়ছে। একটি এসির সমান বিদ্যুৎ দিয়ে প্রায় ৪০টি ফ্যান চালানো সম্ভব। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।

উপজেলাবাসীর একটাই দাবি- বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করা হোক।