মাগুরা সদর উপজেলায় বোন বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছর বয়সী এক শিশু। অচেতন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে প্রথমে মাগুরা সদর আড়াইশ’ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। বর্তমান শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর অভিযুক্ত হিটু শেখকে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হিটু শেখের বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় এলাকাবাসী শান্ত হয়। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ৭ মার্চ দুপুরে ছাত্র জনতা মাগুরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলকারিরা মাগুরা সদর থানা ঘেরাও করে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম আসামীদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে পরিস্থতি শান্ত হয়ে। স্বজনরা জানায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের ৩য় শ্রেণীর ওই শিশু কয়েকদিন আগে আপন বোন বাড়ি সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালি গ্রামে বেড়াতে আসে। আসার পর থেকেই বোনের শ্বশুর হিটু শেখ বুধবার রাতে শিশুটি ঘুমিয়ে থাকলে ভোর রাতে কোন এক সময় শিশুটির গলা চেপে ধর্ষণ করেছে বলে সন্দেহ করছে। সকালে তার রক্তাত্ব অবস্থায় অচেতন দেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের অন্যের সহযোগিতার প্রথমে মাগুরা আড়াইশত বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে তার জ্ঞান না ফেরায় এবং শরীরে খিচুনি ওঠায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান হয়েছে

বর্তমানে তাকে আই সিটি ইউ-তে রাখা হয়েছে। শিশুটির গলায় দাগ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

শুধু এই শিশুটি নয় এর আগেও হিটু শেখ এলাকায় এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।