পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী–সাদুল্লাপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু’র দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে পলাশবাড়ীতে পৃথক নির্বাচনী মহিলা সমাবেশ ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ২০২৫) পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বরিশাল হাইস্কুল মাঠ, বাসুদেবপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠসহ সর্বাঙ্গ ভাদুড়িয়া ও ডাকুনি মির্জাপুর এলাকায় এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু বলেন,

“সভ্যতা ও শিক্ষিত সমাজ বিনির্মাণে নারীর ভূমিকা অপরিসীম। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আপনারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পেলে নারীর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও শিক্ষার সুযোগ বিস্তারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রামীণ নারীদের জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও সহায়তা, বিধবা ও অসহায় নারীদের ভাতা নিশ্চিতকরণ, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি প্রদান এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনাদের দোয়া ও সমর্থনই আমার শক্তি। আপনাদের ভোট আমাকে দায়িত্ব দেবে, আর সেই দায়িত্ব জনগণের কল্যাণে বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”

সমাবেশে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্টার আবু তালেব সরকার, বরিশাল ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর শামীম প্রধান, সাংবাদিক আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাপের আতঙ্কে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তালা

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : সাপের ভয়ে অফিসে ঢুকতেই গা শিউরে ওঠে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। রেকর্ড রুমে ফাইলের বদলে মিলছে বিষধর সাপ। এমন ভুতুড়ে পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই অস্থায়ী কার্যালয়টিতে গত ১৫ দিন ধরে সাপের উপদ্রব চলছে। এর আগে ওঝা ডেকে সাপের ডিম ও বাচ্চা উদ্ধার করা হলেও মূল সংকট কাটেনি। গত রবিবার ও সোমবার পরপর দুদিন আবারও রেকর্ড রুমে সাপের দেখা মেলে। বিশেষ করে রবিবার অফিস সহকারী নাছিমা আক্তার সাপের কবল থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরলে আতঙ্ক চরমে পৌঁছায়। বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারকে জানানো হলে তিনি জান-মালের নিরাপত্তায় অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসটির ভৌত অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক। দলিল লেখকদের মতে, একপাশে গরুর খামারের দুর্গন্ধ আর জরাজীর্ণ ছাদ দিয়ে পানি পড়ার বিড়ম্বনা তো ছিলই, এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে সাপের ভয়। শিবনগর গ্রামের বাসিন্দা তারেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে চলতে পারে না। দ্রুত এটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া দরকার।” দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন জানান, নিজেরা চাঁদা তুলে এর আগেও সাপের উপদ্রব কমানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। এখন অফিস স্থানান্তরই একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।