মাগুরা শ্রীপুরের দেবীনগর গ্রামের কৃষক উত্তম সরকার লেটুস চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন, যা কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে মাগুরার এই অঞ্চলে!

উত্তম সরকারের আবাদি এই জমি দূর থেকে দেখলে মনে হবে মাঠের বুকে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা কেউ বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু কাছে গিয়ে বোঝা যায়, এটি কোনো কাপড় নয়, বরং সালাদের অন্যতম সবজি লেটুস এর সবুজ ও লাল রঙের গাছের সমারোহ। লেটুস একটি জনপ্রিয় পাতা জাতীয় সবজি, যা সাধারণত সালাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মাগুরা শ্রীপুরের এই কৃষক আধুনিক প্রযুক্তি ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে লেটুস চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। দেশে ফাস্ট ফুডের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে লেটুসের চাহিদাও দিনে দিনে বাড়ছে। কিন্তু জেলায় এখনো বাণিজ্যিকভাবে লেটুস চাষ শুরু হয়নি। ফলে স্থানীয় ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ীদেরকে যশোর থেকে বেশি দামে লেটুস কিনে আনতে হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে শ্রীপুরের কৃষি বিভাগের সাবির্ক সহযোগিতায় উত্তম সরকার এখন জেলার একমাত্র লেটুস চাষী বলে জানা গেছে । এ কৃষকের সফলতা দেখে উপজেলা কৃষি বিভাগ লেটুস চাষের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী। সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে লেটুস চাষ সম্ভব। এতে কৃষকদের জন্য নতুন আয়ের পথ তৈরি হবে এবং স্থানীয় বাজারেও লেটুস সহজলভ্য হবে। বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হবে স্থাণীয় চাষিরা। লেটুস চাষী উত্তম সরকার জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে ২০ শতক জমিতে লেটুস চাষ করেছি। খুব ভাল হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই আমার এ ক্ষেত দেখতে আসছেন। তারা লেটুস চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, লেটুস চাষে মানুষের আগ্রহ তৈরিতে জাতীয় পতাকার আদলে চাষ করার কথা ভাবি। তাহলে মানুষ অন্তত দূর থেকে এসে দেখবে।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যদি বাণিজ্যিকভাবে লেটুস চাষ বাড়ানো যায় তবে লাভবান হবেন কৃষকেরা। শ্রীপুরের এই কৃষকের লেটুস ক্ষেত একদিকে যেমন সৌন্দর্য্যরে দৃষ্টান্ত, অন্যদিকে কৃষি খাতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিন করছে। এটি ভবিষ্যতে কৃষকদের আরো লেটুস চাষে উৎসাহিত করতে পারে।