ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে বিশ্বনেতাদের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের সাংবাদিকরা। তাঁরা বলেন, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করে দখলদার ইসরাইল বাহিনী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। চোখের সামনে যাকেই পাচ্ছে তাকেই হত্যা করছে। বক্তারা এই গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সিলেট প্রেসক্লাব আয়োজিত মানববনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান আতা ও এম এ হান্নান, সিনিয়র সদস্য চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবীর আহমদ সোহেল, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ, সিনিয়র সদস্য এম এ মতিন, সহযোগী সদস্য সেলিম আউয়াল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ, সাবেক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক জিয়াউস-শামস-শাহীন, নির্বাহী সদস্য শেখ আশরাফুল আলম নাসির ও মো. আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, ফারুক আহমদ, সোয়েব বাসিত, মো. দুলাল হোসেন, খালেদ আহমদ, দিগেন সিংহ, সিন্টু রঞ্জন চন্দ, লুৎফুর রহমান তোফায়েল, সহযোগী সদস্য এইচ এম শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১৭ জন আটক : সিলেটে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। লুট করা জুতা বিক্রি করতে অনলাইনে বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে তাদের আটক করা হয়। সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারিও চলছে। পুলিশ জানায়, সোমবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর অনলাইনে জুতা বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে গ্রেপ্তার করে লুট হওয়া কিছু জুতা উদ্ধার করে। এ ছাড়াও লুটপাটের ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন, সিলেট নগরীর কাজীটুলা এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯), সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার মৃত আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কোম্পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরের ময়দান এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মো. মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেইট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯) এবং নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের শাহ নূর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া রুপন (৩৫), বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত নন্দন মালাকারের ছেলে অরুন মালাকার (৩৫)।

এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লুটপাটের ভিডিও পর্যালোচনা করে জড়িতদের আটক অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।