ছেলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল জালিয়াতির অভিযোগে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. আবু বকর সিদ্দিক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। হাইকোর্ট থেকে নেয়া চার সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক শাহিনুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া একটি জালিয়াতি মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। জানা যায়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ। ফলাফলে তিনি জিপিএ-৫ পেলে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে, কারণ তখন তার বাবা ছিলেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
অভিযোগ ওঠে, তিনি প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান অভিযোগ করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত হয় এবং ফল জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর বোর্ডের সিদ্ধান্তে নক্ষত্রের ফলাফল বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান সচিব অধ্যাপক ড. একেএম সামছু উদ্দিন আজাদ বাদী হয়ে নারায়ণ চন্দ্র নাথ, তার ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ, বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার এবং সাবেক সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় দ-বিধির ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৩৪ ধারা এবং পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৫, ৬, ১২ ও ১৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও চলতি বছরের ১৫ মার্চ মামলার আরেক আসামি কিবরিয়া মাসুদ খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।